মধ্যযুগে বাংলায় প্রযুক্তি ও সমাজ বিবর্তন

মমতাজুর রহমান তরফদার

মধ্যযুগের ভারতের কতকগুলি আর্থ-সামাজিক সমস্যার যথার্থ মূল্যায়নের জন্য সে-কালের প্রযুক্তিসংক্রান্ত পরিস্থিতির বিচার-বিশ্লেষণ জরুরি। প্রযুক্তির প্রয়োগ আরো কতকগুলি উপাদানের ক্রিয়াশীলতার সঙ্গে সমন্বিত হয়ে মানুষের আর্থ-সামাজিক জীবনে এবং তার চিন্তাচেতনায় গতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। কোনো সমাজে প্রযুক্তির প্রয়োগজনিত সাফল্য সেই সমাজটি আর্থনীতিক বিকাশের কোন পর্যায়ে অবস্থিত তার ওপর নির্ভর করে, অর্থাৎ সামন্ততান্ত্রিক ও ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থার আওতায় প্রযুক্তির প্রয়োগ ভিন্ন ভিন্ন ফল দিতে পারে। মধ্যযুগের বাংলার রাজস্ব-ব্যবস্থায় কতকগুলি সামন্ততান্ত্রিক উপাদান স্পষ্ট, কিন্তু এর অর্থনীতির সার্বিকতায় নগরায়ণ ও বাণিজ্যের ভূমিকাও প্রবল। সে-যুগের বাংলার সমাজ ও অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করা হয়েছে এই বইতে। বাংলার শিল্প, বাণিজ্য ও কৃষির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কতকগুলি প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত আর্থ-সামাজিক বিবর্তনের প্রসঙ্গ এই আলোচনায় স্থান পেয়েছে.

এই রচনার প্রথম খসড়াটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯২ সালের আগস্ট মাসের প্রথম দিকে প্রদত্ত নবম সাইদুর রহমান ফাউন্ডেশন বক্তৃতামালার অন্তর্ভুক্ত।

মমতাজুর রহমান তরফদার (১ আগস্ট ১৯২৮ – ৩১ জুলাই ১৯৯৭) ছিলেন একজন বাংলাদেশি পণ্ডিত এবং ইতিহাসবিদ. তিনি সাহিত্য, ধর্ম ও বিভিন্ন বিষযে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ ছাড়াও সংস্কৃতি ও জাতীয়তাবাদ, আর্থসামাজিক ইতিহাস ও ইতিহাসচর্চার সমস্যা নিয়ে একাধিক রচনা লিখেছেন। ইতিহাসবিদ হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।

কিনুন অনলাইনে: কলেজস্ট্রিট অথবা হারিতবুকস