সিনেমা পাড়া দিয়ে জীবনের প্রায় ছয়টি দশক মাথা উঁচু করে হেঁটে গেলেন তরুণ মজুমদার। জীবনকে ভালোবাসা আর ভালোবাসতে শেখানো—এই ছিল তাঁর সর্বক্ষণ চিন্তার কেন্দ্রে। তিনি কখনোই উচ্চকিত ছিলেন না। মাপা কথার চাপা মানুষ, কিন্তু ফাঁপা নন। প্রচারের দৌড়ে ছোটার জন্য তাঁকে সময় ব্যয় করতে হয়নি। ২০২০ সালের প্রণবেশ সেন স্মারক বক্তৃতায় তরুণ মজুমদার তাই নির্দ্বিধায় শনাক্ত করতে পারেন চলচ্চিত্রের বর্তমান কালো ছোপগুলিকে, অতীতের ঔজ্জ্বল্য আর নিজের সারা জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলতেও ভোলেন না।
তিনি বলেন: ‘‘আমি নিজে দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদের তত্ত্বে বিশ্বাসী। সংসারে কোনওকিছুই স্থির, স্থবির হয়ে থাকতে পারে না। ভিতরে ভিতরে সর্বদাই একটা টানাপোড়েন চলতে থাকে—যার ফলে জীবন, সমাজ, শিল্প একটা গতিময়তা পায়। এই যে প্রতি পদক্ষেপে সামনের দিকে একটু একটু করে এগোনো—একে যদি আমরা ‘কোয়ান্টিটেটিভ চেঞ্জ’ অথবা পরিমাণগত বদল বলে ধরে নিই। তাহলে একটা সময় আসবেই আসবে যখন এই যাত্রাপথ হঠাৎ একটা অবিশ্বাস্য বৈপ্লবিক মোড় নেবে যার ফলে আগামী কয়েক প্রজন্মের পথরেখা চিহ্নিত হয়ে যাবে।’’ তাঁর বক্তৃতাটি গ্রন্থাকারে প্রকাশ করা হল।
কিনুন অনলাইনে: কলেজস্ট্রিট অথবা হারিতবুকস