বাংলার উভচর

অমর কুমার নায়ক

বাংলার আপনঘরের বাসিন্দা ভেককুল যেন বর্ষারজনী ছাড়া আর কখনও আমাদের মনোযোগ পায়নি। অথচ বাংলার তথা গোটা পৃথিবীর পরিবেশের স্বাস্থ্য জড়িয়ে আছে এদের সঙ্গে। আমরা চিনিও না আমাদের ঘরের পাশে থাকা ব্যাঙেদের। শুধু ব্যাং নয়, আছে উভচর আরও কিছু প্রাণী। পঁচিশটারও বেশি প্রজাতির পরিচয় হাজির করে এই বইটি সেই অজানা প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগের সেতু রচনা করবে।

অমর কুমার নায়ক

স্ট্যাটিসটিকস নিয়ে পড়াশুনা করেছেন, শিক্ষকতা করেন গণিত বিষয়েই, কিন্তু ঝোঁক প্রকৃতি-পরিবেশের দিকে। ভালোবাসেন পাহাড়ে ঘুরতে, বিভিন্ন জীবজন্তুর ছবি তুলতে। বাংলা ও ইংরাজি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় পরিবেশ সচেতনতা ও জীববৈচিত্র বিষয়ে নিয়মিত লেখেন। এখনও অবধি লেখকের দেড়শোর বেশি মৌলিক প্রবন্ধ ও মৌলিক সাতটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলার উভচর । অমর কুমার নায়ক

১৬০ পাতা । ৩৯৯.০০

ISBN 81-959743-6-8

দু-হাত দিয়ে বিশ্বরে ছুঁই

শুভেন্দু গুপ্ত

স্বতঃস্ফূর্ত প্রশ্ন করার ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত অল্পবয়সেই বেশি থাকে। যেমন, সূর্য কি পশ্চিমে উঠতে পারে? মাছেরা কি জল খায়? ‘যত সব আজেবাজে প্রশ্ন’ বলে বড়োরা ঠিক যেখানে ছোটোদের থামিয়ে দেন, সেখানেই কলম ধরেছেন লেখক। ছোটোদের মনের জিজ্ঞাসাগুলো তিনি ঠিক আঁচ করেছেন, তাদের জানাচ্ছেন আকাশের গায়ে টক-টক গন্ধের ইতিহাস কিংবা জেব্রাদের গায়ে দাগে ভরা সমস্যার কথা। এই ধরনের স্বাভাবিক জিজ্ঞাসা অনেক শিশু ও কিশোরের। তাদের সবার সঙ্গে এই উত্তরগুলি ও অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবার প্রয়াসেই এই বই।

শুভেন্দু গুপ্ত

জন্ম ১৯৪২ সালে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাণ-রসায়নে পিএইচডি। উচ্চতর গবেষণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন এবং ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভারতে গাণিতীয় রসায়নের অন্যতম পথিকৃৎ। ভারত-বুলগেরিয়া গাণিতীয় রসায়নের একটি বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের অন্যতম বিজ্ঞানী সদস্য ছিলেন। ন্যাশনাল এনভায়রমেন্টাল সায়েন্স আকাদেমির স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ফেলো ও অন্যতম সহসভাপতি ছিলেন।

 বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ ছাড়াও একাধিক প্রবন্ধ লিখেছিলেন সাহিত্য, দর্শন, সমাজতত্ত্ব বিষয়ে। আশ্চর্য প্রদীপের সন্ধানে  বইটির জন্য পেয়েছিলেন বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী স্মৃতি পুরস্কার (২০০২)। মৃত্যুর আগে প্রকাশিত তাঁর এই ধারার আরও একটি  বই হালকা মেঘের ভেলায়: আড্ডা পেরিয়ে রম্যবিজ্ঞানে  (২০২২)।  ১৬ নভেম্বর ২০২২ তিনি প্রয়াত হন।

দু-হাত দিয়ে বিশ্বরে ছুঁই । শুভেন্দু গুপ্ত

১১২ পৃষ্ঠা । ২৫০.০০

ISBN 978-81-959743-8-2

অবিরত দ্বৈরথে বিজ্ঞান: দ্বিতীয় পর্ব ইসলামি বলয়, চীন, জাপান, রাশিয়া

আশীষ লাহিড়ী 

ধর্ম-বিজ্ঞান দ্বৈরথে তৃতীয় মাত্রা হল রাষ্ট্র। পশ্চিম ইউরোপের রেনেসাঁস-উত্তর এনলাইট্‌ন্‌মেন্ট-এর প্রভাবে সেই অর্থোডক্স অচলায়তনে একটু চিড় ধরলেও, তাকে প্রতিহত করার জন্য দরকার পড়ল বলশেভিক বিপ্লবের;  আধুনিক বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি সেই নতুন রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ক্যাথলিক-প্রধান আমেরিকান রাষ্ট্রর ওপর পড়ল ‘ইন্ডাস্ট্রি-মিলিটারি-সায়েন্স কমপ্লেক্স’-এর সর্বময় ছায়া। এশিয়াতে সম্রাট মেইজির আমলে ধর্মীয় আগল ভেঙে জাপানও কিছুদিনের মধ্যে অতিজাতীয়তাবাদী রাষ্ট্রর ছত্রচ্ছায়ায় চলে এলো বিশ্ববিজ্ঞান গবেষণার সামনের সারিতে। কনফুশীয় ধর্মভাবনার অন্ধগলি থেকে বিশ্ববিজ্ঞানের রাজপথে প্রবেশের জন্য চীনকে সুপরিকল্পিত বিপ্লব ঘটাতে হল; সেখানে রাষ্ট্রই বিজ্ঞানের নিয়ন্তা শক্তি। স্পষ্টত, চীন, জাপান, রাশিয়া, আমেরিকা প্রভৃতি বিজ্ঞানোন্নত দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের নিয়ন্ত্রণ বিভিন্ন মাত্রায় পিছু হঠলেও রাষ্ট্র কি ধর্মেরই মতো শ্বাসরোধী ভূমিকা পালন করছে? এইসব প্রশ্ন নিয়েই দ্বিতীয় পর্ব অবিরত দ্বৈরথে বিজ্ঞান:ইসলামি বলয়,চীন, জাপান, রাশিয়া।  

আশীষ লাহিড়ী 

জন্ম ১৯৪৮। বিজ্ঞানের ইতিহাস, বিজ্ঞানের দর্শন ও সাহিত্য বিষয়ে ইংরেজি ও বাংলায় লিখছেন দীর্ঘদিন। বিজ্ঞানের ইতিহাস পড়িয়েছেন এশিয়াটিক সোসাইটি, ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজিয়াম্‌স, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন (আই আই এস ই আর, কলকাতা)-এ। জে ডি বার্নাল-এর Science in History বইয়ের বঙ্গানুবাদের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। আনন্দ পুরস্কার, রবীন্দ্র পুরস্কার, ও ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় পুরস্কারে সম্মানিত।

 নির্ঝর থেকে ২০২২-এ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর অবিরত দ্বৈরথে বিজ্ঞান: হিন্দু-ইসলামি-খ্রিস্টীয় সংস্কৃতিবলয়

অবিরত দ্বৈরথে বিজ্ঞান: দ্বিতীয় পর্ব

ইসলামি বলয়, চীন, জাপান, রাশিয়া

আশীষ লাহিড়ী 

ISBN 978-81-959743-7-3

২৭৬ পৃষ্ঠা । ৪৫০.০০

চুম্বকত্ব

নির্ঝর বিজ্ঞান গ্রন্থমালা ২

রাজীব সরকার

চুম্বকত্ব বিষয়টি বড়োই অদ্ভুত। আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে এর উপস্থিতি। একটি দণ্ড চুম্বকের সামনে লোহাকে আনলে এক অদৃশ্য বলে সেটি তাকে কাছে টেনে নেয়। কী সেই অদৃশ্য বল! চুম্বক শলাকা কেন উত্তর-দক্ষিণে মুখ করে থাকে? আমাদের আবাস এই নীল পৃথিবীও আসলে একটা বিরাট চুম্বক। আমরা কি সত্যিই এখনও সঠিক জানতে পেরেছি এই চুম্বকত্বের কারণ কী? এই মহাবিশ্বের প্রবলতম চুম্বকত্বের দেখা মিলবে কোথায়? তথ্য সংরক্ষণের কাজে কীভাবে চুম্বকত্বকে কাজে লাগানো হয়? বর্তমানে চুম্বকত্ব নিয়ে বিশেষ গবেষণার দিকগুলো-বা কোনদিকে এগোচ্ছে? এইরকম অনেক বিষয় আলোচিত হয়েছে এই বইতে। গেরস্থালির মামুলি কাজ থেকে চিকিৎসাক্ষেত্রে এমআরআই যন্ত্র বা কম্পিউটারের হার্ড-ডিস্ক, সব কিছুই ঋণী চুম্বকবিজ্ঞানের কাছে। সহজ ভাষায় চুম্বকত্বের আপাত-অজানা স্বরূপ আলোচিত হয়েছে বইটিতে।

রাজীব সরকার

জন্ম অক্টোবর ১৯৭৯। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় বিএসসি এবং কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি। কলকাতার সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স থেকে পিএইচডি ২০০৯–এ। এরপর জার্মানির ম্যাক্স-প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট, ড্রেসডেন-এ উচ্চতর গবেষণার কাজ সমাপ্ত করে ২০১২ থেকে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ড্রেসডেন-এ গবেষণা এবং অধ্যাপনার কাজে যুক্ত আছেন। গবেষণার বিষয় পরীক্ষামূলক ঘনীভূত পদার্থবিদ্যা, মূলত অতিপরিবাহিতা এবং চুম্বকত্ব, এবং তারই অনুষঙ্গে নিম্ন তাপমাত্রা। গবেষণাক্ষেত্রে মৌলিক নিবন্ধের সংখ্যা ৬০-এর কাছাকাছি। লিখেছেন দুটি বই অভিবাসী পথিক বিজ্ঞানী (মনন ক্রিয়েশানস, ২০২১) এবং নিম্ন তাপমাত্রা: কিছু ভাবনা (সাহিত্য সংসদ, ২০২৩)। বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের চেষ্টায় ‘সায়েন্স অ্যান্ড আরগুমেন্টস’ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা।

নির্ঝর বিজ্ঞান গ্রন্থমালা ২

চুম্বকত্ব । রাজীব সরকার

১৭৬ পৃষ্ঠা । ৩৫০.০০

ISBN 978-81-959743

অপ্রকাশিত-অগ্রন্থিত শান্তিনিকেতন ও রবীন্দ্রস্মৃতি

সম্পাদনা দেবাঙ্গন বসু

শান্তিনিকেতন পত্রিকার প্রথম সংখ্যার (বৈশাখ ১৩২৬/এপ্রিল ১৯১৯) ‘সূচনা’-য় রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘আমাদের শান্তিনিকেতন আশ্রমও নিজের সীমানাটুকুর মধ্যেই পরিমিত নহে। এই আশ্রম হইতে অনেকে বাহির হইয়া গেছে। তাহারা সকলেই যে ইহার টান স্বীকার করে তাহা নহে, কিন্তু অনেকেই করে। সেই অদৃশ্য টান আশ্রমের বাহিরেও আশ্রমকে বিস্তীর্ণ করিয়া রাখিয়াছে। এই বিস্তার প্রতিদিন দূরব্যাপী হইয়া একটি বৃহৎ মণ্ডলী রচনা করিতেছে।’ শান্তিনিকেতন ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠাকাল থেকে রবীন্দ্রতিরোধান পর্যন্ত প্রথম ষাট বছরের নানা ঘটনা এই সংকলনে গৃহীত হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীজনের স্মৃতিসূত্রে। আলোকচিত্র যেমন স্মৃতির স্মারকচিহ্ন, তেমনি স্মৃতির আখ্যানও ইতিহাসের অন্যতম উপাদান। একথা মনে রেখেই ‘একটি বৃহৎ মণ্ডলী’র জন্য এই প্রথম গ্রন্থভুক্ত করা হল এযাবৎ অপ্রকাশিত-অগ্রন্থিত ঊনত্রিশটি বাংলা ও পাঁচটি ইংরেজি স্মৃতিধর্মী রচনা। সঙ্গে প্রায় প্রতিটি লেখাতেই যুক্ত করা হয়েছে প্রয়োজনীয় টীকা এবং দুর্লভ বেশ কয়েকটি আলোকচিত্র। পরিশিষ্টে রইল সম্পাদকের একটি বিশ্লেষণাত্মক নিবন্ধ এবং শান্তিনিকেতন-বিশ্বভারতী বিষয়ক প্রায় চারশো বই ও পত্রপত্রিকার পঞ্জি।

দেবাঙ্গন বসু 

জন্ম ১৯৭৯-এ। বিদ্যালয় পর্বের শিক্ষা চন্দননগরে। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে হুগলির মিয়ারবেড় রামকৃষ্ণ শিক্ষানিকেতনে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। বিশেষ আগ্রহ ও চর্চার ক্ষেত্র শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতীর ইতিহাস। সম্পাদনা করেছেন হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় জীবন ও অগ্রন্থিত রচনাসংগ্রহ (২০১৮) এবং সুধাকান্ত রায়চৌধুরী-র দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর: স্মৃতিকথা (২০২০)।

অপ্রকাশিত-অগ্রন্থিত শান্তিনিকেতন ও রবীন্দ্রস্মৃতি। সম্পাদনা দেবাঙ্গন বসু

ISBN 978-81-959743-9-9

৩২০ পৃষ্ঠা ।  মূল্য ৬৯৫.০০ 

বিস্ময়ে তাই জাগে

প্রকৃতিকে পর্যবেক্ষণ কি শুধুই সময় কাটানোর এক উপায় নাকি এর মধ্যেও রয়েছে গভীর কোনো উদ্দেশ্য? প্রকৃতিকে খুঁটিয়ে দেখার বিস্ময়বোধ কি আমাদের নৈতিক মানসেও নাড়া দিয়ে যায় না? জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই এমনসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছিলেন রেচেল কারসন। তিনি মনে করতেন, ‘শেখা বা জানার তুলনায় অনুভব করাটা অনেক বেশি জরুরি। ’সংকলনটিতে রয়েছে তাঁর ছোটোদের প্রকৃতিপাঠ বিষয়ক যুগান্তকারী নিবন্ধ ‘হেল্প ইয়োর চাইল্ড টু ওয়ন্ডার’, কিশোরী বয়সের একটি ছোট্ট লেখা, জীববিদ্যার পাঠ্যক্রম কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে মন্তব্য এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডরোথি ফ্রীম্যানকে লেখা বেশ কয়েকটি চিঠির অনুবাদ। এছাড়াও পরিশিষ্টে যুক্ত করা হয়েছে তাঁর সমগ্র জীবনকর্ম নিয়ে দুটি বিশ্লেষণধর্মী প্রবন্ধ। সর্বোপরি, এই বইয়ে ধরা রইল পরিবেশভাবুক রেচেল কারসনের জীবনের এক অন্তরঙ্গ ছবি।

রেচেল লুই কারসন

জন্ম ১৯০৭ সালের ২৭ মে পেনসিলভেনিয়ার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে। প্রকৃতির প্রতি তাঁর গভীর ভালবাসার সূচনা হয়েছিল মায়ের হাত ধরেই। জন্স হপকিন্‌স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি প্রাণিবিদ্যায় মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন ১৯৩২-এ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ফিশারিজ-এ জুনিয়ার অ্যাকোয়াটিক বায়োলজিস্ট হিসেবে যোগ দেন ১৯৩৬-এ। The Sea Around Us বইটির জন্য পেয়েছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড। তবে Silent Spring বইটির মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন বিশ্ববিবেক। মাত্র ছাপ্পান্ন বছর বয়সে ১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল মেরিল্যান্ডের সিলভার স্প্রিং-এ মারা যান রেচেল কারসন।

বিমান নাথ

 জন্ম আসামে ১৯৬৫-তে। জ্যোতির্বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন আমেরিকার মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে অধ্যাপনা ও গবেষণার কাজে যুক্ত আছেন ব্যাঙ্গালোরের রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তিনি নিয়মিত লেখেন বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ। নক্ষত্রের সাথে কথা কয় পৃথিবীর প্রাণ (২০২১) তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি বই।

বিস্ময়ে তাই জাগে । রেচেল কারসন

সংকলন ও অনুবাদ । বিমান নাথ

১১২ পৃষ্ঠা । ২৫০.০০

978-81-968261-8-5

বিভা

জীবনানন্দ দাশ

জীবনানন্দ চারটি খাতায় লিখেছিলেন বিভা উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি। এর আগে কখনই সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়নি ‘বিভা’-র মূলানুগ পাঠ। বর্তমান বইতে প্রথম খাতার ‘II: a story’ নামের অপ্রকাশিত অংশটি রাখা হয়েছে উপন্যাসের মুখড়া হিসেবে। ওই খাতার ‘III: a story’ শিরোনামে লেখা অংশটি থেকে শুরু হয়েছে বিভা উপন্যাসটি। এরপর র‍য়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খাতার মূলানুসারী পাঠ। তারপর যুক্ত হয়েছে এযাবৎ অপ্রকাশিত চতুর্থ খাতার সম্পূর্ণ অংশ অর্থাৎ উপন্যাসের শেষাংশটি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অপ্রকাশিত শেষাংশটি ছাপায় প্রায় পঞ্চাশ পৃষ্ঠা।

বিভা উপন্যাসের অপ্রকাশিত অংশ প্রসঙ্গে

জীবনানন্দ চারটি খাতায় লিখেছিলেন বিভা উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি। এর আগে কখনই সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়নি ‘বিভা’-র মূলানুগ পাঠ। বর্তমান বইতে প্রথম খাতার ‘II: a story’ নামের অপ্রকাশিত অংশটি রাখা হয়েছে উপন্যাসের মুখড়া হিসেবে। ওই খাতার ‘III: a story’ শিরোনামে লেখা অংশটি থেকে শুরু হয়েছে বিভা উপন্যাসটি। এরপর র‍য়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খাতার মূলানুসারী পাঠ। তারপর যুক্ত হয়েছে এযাবৎ অপ্রকাশিত চতুর্থ খাতার সম্পূর্ণ অংশ অর্থাৎ উপন্যাসের শেষাংশটি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই অপ্রকাশিত শেষাংশটি ছাপায় প্রায় পঞ্চাশ পৃষ্ঠা।

নব্যবিজ্ঞানে অনির্দেশ্যবাদ

প্রমথনাথ সেনগুপ্ত

গ্যালিলিও-নিউটনের যুগ থেকে আজও আমাদের ভাবনার ভিত ধরে রেখেছে কার্যকারণ-বাদ। এরই মাঝে বিশ শতকের গোড়ায় পদার্থের বিবিধ আচরণের ব্যাখ্যা খুঁজতে গিয়ে অবতারণা করা হল কোয়ান্টাম তত্ত্বের। কিন্তু এই তত্ত্বটির কেন্দ্রীয় চরিত্র এমন যে তার সঙ্গে আমাদের রোজকার বোধের সংঘাত অবশ্যম্ভাবী। নেহাত অতি ক্ষুদ্র কিংবা অতি বৃহৎকে বাদ দিয়েই আমাদের আটপৌরে জীবন চলে যায় তাই, কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রভাব আমাদের বহু শতাব্দীর ভাবনার অভ্যাসকে বিপর্যস্ত করতে পারে না। কোয়ান্টাম তত্ত্ব যখন প্রায় সাবালক সেই সময়ে প্রমথনাথ সেনগুপ্ত এই ছোট্ট বইটি রচনা করেন। এখানে তিনি কার্যকারণ-বাদের ওপর কোয়ান্টাম তত্ত্বের আঘাত সম্পর্কে আমাদের চোখ খুলে দিতে চেয়েছিলেন। সেই কালের নিরিখে এগিয়ে থাকা এই প্রাঞ্জল রচনা কোয়ান্টাম তত্ত্বের কেন্দ্রেও আলো ফেলেছে।

প্রমথনাথ সেনগুপ্ত 

জন্ম ১৯০৭/৮-এর ফেব্রুয়ারি মাসে। জন্মস্থান ঢাকা। পিতার নাম কালীনাথ সেনগুপ্ত। ১৯২৪-এ প্রমথনাথ পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স নিয়ে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেইসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ছিলেন অধ্যাপক সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তিনি কলকাতা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন ১৯২১-এ। এম এসসি-তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিলেন প্রমথনাথ। ১৯৩৩ অবধি প্রমথনাথ তাঁরই কাছে গবেষণাকর্মে নিযুক্ত থাকেন। ১৯৩৪ সালের জুলাই মাসে তিনি বিশ্বভারতীতে যোগ দেন। রবীন্দ্রনাথের একমাত্র বিজ্ঞানগ্রন্থ ‘বিশ্বপরিচয়’ লেখায় সহায়তা করেছিলেন। ১৯৫১-তে খড়্গপুর আইআইটি প্রতিষ্ঠিত হলে প্রতিষ্ঠাতা-সর্বাধ্যক্ষ জ্ঞানচন্দ্র ঘোষের আহ্বানে তিনি প্রথম রেজিস্ট্রার ও বোর্ড অফ গভর্নরস্‌-এর অন্যতম সদস্য নিযুক্ত হন। ১৯৫৬-র নভেম্বরে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দপ্তরের ডেপুটি সেক্রেটারি (টেকনিক্যাল এডুকেশন) পদে আসীন হন।উল্লেখ্য, সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষাসচিব ছিলেন ধীরেন্দ্রমোহন সেন এবং কেন্দ্রে শিক্ষামন্ত্রী মৌলনা আবুল কালাম আজাদ। সরকারি চাকরি থেকে প্রমথনাথ অবসর নেন ১৯৬৬-তে। কর্মজীবনের শেষ পর্বে তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বি এড (সায়েন্স) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পদার্থবিদ্যার রীডার হিসেবে (১৯৬৬-৭২) যুক্ত ছিলেন। শিক্ষক হিসেবে প্রমথনাথের যথেষ্ট সুখ্যাতি ছিল।ক্রীড়ামোদী মানুষ ছিলেন, ছাত্রাবস্থায় টেনিস খেলায় ডিস্‌ট্রিক্ট চ্যাম্পিয়ান হয়েছিলেন। সংগীতপ্রিয়, অন্তর্মুখী এই মানুষটির জীবনাবসান হয় কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবাপ্রতিষ্ঠানে, চুয়াত্তর বছর বয়সে, ২৯ মার্চ ১৯৮১-তে। প্রমথনাথের বাংলায় লেখা বইয়ের সংখ্যা হল মোট পাঁচটি। 

বইয়ালার ডাক: কান পাতার দীক্ষা

অনিরুদ্ধ লাহিড়ী

দুরবগাহ তত্ত্বকথায় ঝাঁপ দেবার না আছে সাধ, না সেই সাধ্য। ঝাঁপ দিতে পারলেই অবশ্য সব পাঠক-পাঠিকার তা যে মনঃপূত হত সেটাও আবার নয়।

লেখালেখি বলতে হালকা-ভারী প্রবন্ধ—বা তার সমতুল নানা স্বাদের গদ্য রচনা। স্মৃতি-অনুষঙ্গ যদি কোনো কোনোটির গড়ে উঠবার যুক্তি জুগিয়ে থাকে, অন্য ক্ষেত্রে তা হয়তো আলগোছে তুলে নেওয়া ভাবনা-সূত্র। ভাববস্তুর প্রতি যে সুবিচার করা হয়েছে, সে-বিষয়ে সন্দেহের কারণ থাকছে না।

আশ্বাস দেওয়া যাক গুণগত মান বা ওজনে পাঠক ঠকবেন না।

অনিরুদ্ধ লাহিড়ী

লেখকের জন্ম ১৯৪১, রংপুরে। ভারিক্কি কোনো উপস্থিতি নেই কোথাও। এরকম একজন নিরিবিলি ব্যক্তির দেবার মতো কী-ই বা পরিচিতি থাকতে পারে? নেই-যে, মনে হয় এই অনুমেয় সত্যিটা না-জানালেও দিব্যি চলবে।

কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর ভাষা কর্জ করে বলা যায়, একজন ‘কম্‌তি মাথার’ মানুষ, তাই এই তুমুল ভাষা-পরিসরে পুরোপুরি বেমানান ও বেখাপ্পা তিনি। কে জানে কোন সূত্রে আহৃত প্রেরণার বশে আকৈশোর তাও-বাদী, আর তা আকর গ্রন্থাবলি পড়বার ঢের আগে থেকে।     লিখছেন লজ্জাজনকভাবে কম; তবে শোনা যায় পড়ুয়া হিসেবে অল্প হলেও বাজারে তাঁর খ্যাতি আছে। প্রথম লেখা ‘টিলার সূর্যাস্ত ও অন্যান্য শশীরা’ (১৯৭৪/৭৫)। বইপাড়ায় ঢুঁ দিলে মিলতে পারে আরও দুটো বই: কমলকুমার ও কলকাতার কিস্‌সা (৪র্থ সং, ২০২২), পাঠ্যের অভিমুখে: কয়েকটি পঠন (২০২৩)।    

অগ্রন্থিত অজিতেশ

ভবেশ দাশ (সম্পাদনা)

গণনাট্যের যুগ থেকে তাঁর নাট্যজীবনে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯৩৩-১৯৮৩) নাটক কম লেখেননি, বিশেষত বিদেশি নাটকের বাংলা রূপান্তর। ফরাসি স্যাটায়ার অবলম্বনে এই বাড়ি বিক্রয় হইবে, জলছবি, শেক্সপিয়রের টেমপেস্ট-এর অনুবাদ–এসব নাটক কোথায় তার কোনো খোঁজ নেই। তবে এরই মধ্যে রত্না বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল দুটি নাটকের। একটি মৌলিক নাটক একবৃত্ত এবং অন্যটি ব্রেখ্‌টের মি. পুনটিলা অ্যান্ড হিজ মাট্টি  নাটকের খসড়া রূপান্তর পান্তু লাহা এবং মতি। এ ছাড়া অজিতেশের নাটক ও যাত্রা নিয়ে কিছু টুকরো লেখা ছড়িয়ে ছিল নানা পত্রপত্রিকায়। সেই অগ্রন্থিত লেখাগুলি ও নাটক দুটি সংকলিত হলো এই গ্রন্থে। এরই সঙ্গে রাখা হলো তাঁর লেখা কয়েকটি গান ও একটি কবিতা। আমাদের বিশ্বাস, এই বইটি অজিতেশের গ্রন্থমালায় একটি প্রয়োজনীয় সংযোজন।

ভবেশ দাশ

জন্ম ১৯৪৯, বাংলাদেশের রংপুরে। পড়াশোনা কলকাতায়। আকাশবাণী ও দূরদর্শনে তিন দশকের সাংবাদিকতা। কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপনা। অধুনালুপ্ত রঙ্গমঞ্চ পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি প্রকাশিত গ্রন্থ: নাট্যের ঘ্রাণ নাট্যের প্রাণ (২০২২), দুই হাতে যাঁর নিরাময় (২০২৩), কলকাতা বেতার: দশ ব্যক্তিত্ব (২০২৩)। একক ও যুগ্ম সম্পাদনায় প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: কলকাতা বেতার (তিন খণ্ডে, ২০১১, ২০১৪, ২০১৪), কাকে বলে বেতারনাট্য (২০১৭), অজিতেশ (২০১৭), সম্প্রচারের ভাষা: নানা প্রসঙ্গ (২০২৩)।