ভাষা আর সমাজ—পরস্পর বাঁধা অঙ্গাঙ্গি সম্পর্কে। ভাষাতত্ত্ববিদ ফিশম্যান খুব সুন্দর বলেছেন, ভাষা হলো ‘সামাজিক অবস্থান আর পারস্পরিক সম্পর্কবিন্যাসের সূচক।’ অঞ্চলের ভাষা, জনগোষ্ঠীর ভাষা, মেয়েদের নিজস্ব ভাষা, ভদ্র-অভদ্র ভাষা—বহুল বৈচিত্র্য সমাজভাষার। সমাজভাষা ভাষাতত্ত্বের একটি স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে গড়ে ওঠার আগেই বিভিন্ন বাংলা পত্রপত্রিকায় বহু রচনা প্রকাশিত হয়েছিল এইসব বিষয় নিয়ে। প্রকাশিত সেইসব লেখা থেকে বাচাই করে তৈরি বর্তমান সংকলনটি সমাজভাষাচর্চার ধারাবাহিকতাকে বোঝার এক আন্তরিক প্রয়াস। এই সংকলনে ভাষাবিদ্যার লব্ধপ্রতিষ্ঠ গবেষকের লেখা যেমন রয়েছে, তার বাইরেও এমন অনেকের লেখা আছে যাঁরা হয়তো ভাষাবিদ্যার গবেষণায় প্রতিষ্ঠিত নন। সেদিক দিয়ে ভাষা আর সমাজকে কেন্দ্রে রেখে সংকলিত বাঙলায় সমাজভাষাচর্চা বইটি ভাষাচর্চার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (জ. ১৯৫৪) গবেষক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক। ভাষাকে কেন্দ্রে করে বাংলার সমাজজীবন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক জীবনকে বোঝার প্রয়াস তাঁর চর্চার মূল ভরকেন্দ্র। ভাষাতত্ত্বে তাঁর আগ্রহ শিক্ষা-সাক্ষরতা নিয়ে জনজীবনের মধ্যে কাজের সূত্রে। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় কুড়িটি। প্রাসঙ্গিক দুটি বই: অন্যশিক্ষার সন্ধানে (২০১২), ভাষা ভাষা কথা (২০১৫); সম্পাদিত বই: বাঙালির ভাষাচিন্তা (২০০১)।
কিনুন অনলাইনে: কলেজস্ট্রিট অথবা হারিতবুকস