অনিরুদ্ধ লাহিড়ী
দুরবগাহ তত্ত্বকথায় ঝাঁপ দেবার না আছে সাধ, না সেই সাধ্য। ঝাঁপ দিতে পারলেই অবশ্য সব পাঠক-পাঠিকার তা যে মনঃপূত হত সেটাও আবার নয়।
লেখালেখি বলতে হালকা-ভারী প্রবন্ধ—বা তার সমতুল নানা স্বাদের গদ্য রচনা। স্মৃতি-অনুষঙ্গ যদি কোনো কোনোটির গড়ে উঠবার যুক্তি জুগিয়ে থাকে, অন্য ক্ষেত্রে তা হয়তো আলগোছে তুলে নেওয়া ভাবনা-সূত্র। ভাববস্তুর প্রতি যে সুবিচার করা হয়েছে, সে-বিষয়ে সন্দেহের কারণ থাকছে না।
আশ্বাস দেওয়া যাক গুণগত মান বা ওজনে পাঠক ঠকবেন না।
অনিরুদ্ধ লাহিড়ী
লেখকের জন্ম ১৯৪১, রংপুরে। ভারিক্কি কোনো উপস্থিতি নেই কোথাও। এরকম একজন নিরিবিলি ব্যক্তির দেবার মতো কী-ই বা পরিচিতি থাকতে পারে? নেই-যে, মনে হয় এই অনুমেয় সত্যিটা না-জানালেও দিব্যি চলবে।
কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর ভাষা কর্জ করে বলা যায়, একজন ‘কম্তি মাথার’ মানুষ, তাই এই তুমুল ভাষা-পরিসরে পুরোপুরি বেমানান ও বেখাপ্পা তিনি। কে জানে কোন সূত্রে আহৃত প্রেরণার বশে আকৈশোর তাও-বাদী, আর তা আকর গ্রন্থাবলি পড়বার ঢের আগে থেকে। লিখছেন লজ্জাজনকভাবে কম; তবে শোনা যায় পড়ুয়া হিসেবে অল্প হলেও বাজারে তাঁর খ্যাতি আছে। প্রথম লেখা ‘টিলার সূর্যাস্ত ও অন্যান্য শশীরা’ (১৯৭৪/৭৫)। বইপাড়ায় ঢুঁ দিলে মিলতে পারে আরও দুটো বই: কমলকুমার ও কলকাতার কিস্সা (৪র্থ সং, ২০২২), পাঠ্যের অভিমুখে: কয়েকটি পঠন (২০২৩)।